Hii, I am স্বস্তিক চৌধুরী
একটি ছেলে, যে আজীবন ক্রিকেট খেলবে ভেবেছিল।
ভেবেছিল ব্যাট হাতে বিশ্ব শাসন করবে।
লর্ডসের সবুজ গালিচা ছুঁয়ে বাউন্ডারি পৌঁছে যাওয়া
কভার ড্রাইভ, বার্তা বয়ে আনবে সেঞ্চুরির।…বল হাতে ফাইফার সংগ্রহ করে ফিরবে ড্রেসিংরুমে। কিন্তু কাদামাখা জার্সিটা খুলে উঠোনে শুকোতে দেওয়ার পরই সে বাস্তবে ফিরে এসেছিল। বুঝেছিল আদতে সে নিতান্তই মিডিওকার। ক্রিকেটেও, পড়াশোনাতেও। তারপর কোনোক্রমে পড়াশোনাটা কমপ্লিট করে সে ঝাঁপ দিল অশান্ত আটলান্টিকে। সে কোনোদিন চাকরি করতে চাইত না। তার পুল শট বলতে বাংলা ভাষা, আর ইনসুইং বলতে ক্রিয়েটিভিটি। এটুকুই তার সম্বল। ধীর গতিতে অশান্ত সমুদ্রে এগোতে থাকলো তার ভেলা। সে ছোটবেলা থেকে শুনেছিল, দিনের প্রথম দু’ঘন্টা বোলারকে দিলে সারাদিনটা ব্যাটসম্যানের। মেঘলা আবহাওয়া আর ভয়াবহ ইনসুইং কোনোরকমে সামলাতে লাগলো সে। কখনো টাইমে আর্টিকেল সাবমিট, কখনো বা সময় বাঁচিয়ে স্ক্রিপ্ট এডিট। মাথার উপর রানচেজের টার্গেটের মত ডেডলাইনের খাঁড়া। একদিন তো অ্যাডকপি দেখে খচে বোম এডিটর। রিয়েল এস্টেট ক্লায়েন্টের ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। কমিউনিটি ক্লাব-সুইমিং পুলের ব্রোসার ক্রিয়েটিভে কপি লিখেছিল,
“গসিপ হোক বা চায়ের ভাঁড়ে আড্ডা
অনুব্রত হোক বা সেন্ট্রালে নাড্ডা
বাঙালির পছন্দের POOLitics must on!”
যাই হোক, বসের একের পর এক বাউন্সার সামলে সে আস্তেআস্তে সেট হল পিচে। একসময় ব্যাটে বল আসতে শুরু করলো। তারপর সে মনে মনে আওড়ালো, রবার্ট ফ্রস্টের কবিতাটা… এখনো চলছে তার পথ চলা। টুকটুক করে স্ট্রাইক রোটেট করে সে একদিন ঠিক শূন্যে লাফ দিয়ে হেলমেট খুলবেই!